অনলাইন ইনকামের সেরা ১২টি উপায়

Nir
0

 


অনেকেই রয়েছেন যারা অনলাইনে বেশ পারদর্শি। কিন্তু অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে খুব একটা জানেন না। জানলেও এটা জানেন না যে কিভাবে কোথায় কাজ করতে হয়। আবার অনেকেই রয়েছেন, যারা কাজ পারেন বটে, কিন্তু কোথায় কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে একেবারেই জানা নেই। আজকে আমি আপনাদের এই কন্টেন্টের মাধ্যমে জানাবো অনলাইনে ইনকামের সেরা ১০টি উপায় সম্পর্কে, যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইনে নিজের পেশা হিসেবে গড়তে পারেন। 

 

তার আগে আপনাদের দুইটা কমন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নেই। 

 

অনলাইনে কী দক্ষতা ছাড়া ইনকাম করা সম্ভব?

এর উত্তর হলো না, একদমই না। অনলাইনে দক্ষতা ছাড়া ইনকাম করা একেবারেই সম্ভব না। যদি কেউ বলে অমুক ওয়েবসাইটে এইটা করলে ইনকাম হয়। তবে বুঝে নিবেন সেটা একটা ফেক ওয়েবসাইট। কারণ কেউ আপনাকে দক্ষতা ছাড়া কাজ দিবেনা। 

 

এমন কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট আছে যেটাতে ইনকাম করা যায় দক্ষতা ছাড়া?

না, নেই। এমন কোনো অ্যাপ নেই যেটাতে আপনি দক্ষতা ছাড়াই ইনকাম করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, হাতে গোনা দু'একটা ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ আছে। তবে সেগুলো আপনাকে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০টাকা দিবে। তাও আবার যতসব ফালতু কাজের বিনিময়ে। অ্যাডে ক্লিক করা, বিজ্ঞাপনের ভিডিও দেখা এইসব। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে দেখবেন সেটি গায়েব বা আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড!

 

কাজেই অনলাইনে ইনকামের ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক। তো চলুন এবার দেখে নেয়া যাক কোন কোন কাজ করে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন অধিক অর্থ।

 

১. অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে অনলাইনে ইনকামের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনার নিজ দক্ষতার উপর ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি প্রতি মাসে ৩০০-৩০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এমন এক ধরনের মুক্ত পেশা, যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। 

 

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকামের ক্ষেত্রে রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বিভিন্ন প্লাটফর্ম। তার মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় Fiverr, Upwork, Freelancer ইত্যাদি। এই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতে একাউন্ট করে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী পোর্টফোলিও সাজিয়ে ফেলুন এবং নিজের দক্ষতা অনুযায়ী অ্যাপ্লাই করুণ কাজের জন্য। তারপর বায়াররা আপনার দক্ষতা অনুযায়ী তাঁরা আপনাকে কাজ দিবে। ফাইভারে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে করতে হয় নিজের দক্ষতা অনুযায়ী গিগ। নীচের কন্টেন্টটিতে গিয়ে দেখে নিতে পারেন গিগ কী এবং কিভাবে গিগ খুলতে হয়। 

ফাইভার গিগ কী? যেভাবে খুলবেন ফাইভার গিগ।

 

২. ইউটিউবিং করে অনলাইনে ইনকাম

বর্তমানে ইউটিউবিং এর সাথে অনেকেই জড়িত। ইউটিউবে সুন্দর একটা নাম সেলেক্ট করে সেই নামে চ্যানেল করে চ্যানেলটাকে কাস্টমাইজ করে সুন্দরভাবে সাজিয়ে ইচ্ছামতো টপিক্সের উপর ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে তৈরি করতে হবে ভালো মানের কন্টেন্ট। 

 

অনেকেই ভ্রমণ ভ্লগ নিয়ে কাজ করে, আবার অনেকেই বিভিন্ন টিউটোরিয়াল বা রোস্টিং। ভ্রমণ ভ্লগ নিয়ে কাজ করতে চাইলে ফলো করতে পারেন Shishir Dev কিংবা Tiham Travelers অথবা Md Fizz এর মতো সফল বাংলা ভ্রমণ ট্রাভেল ভ্লগারদের। ট্রাভেল ভিডিও আপনি চাইলে আপনার স্মার্ট ফোন দিয়েই করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা থাকতে হবে সিনেমাটিক ভিউ নেয়ার এবং ইডিটিং। তবে ইডিটিং এর ব্যাসিক নলেজ থাকলেই হবে। ফলো করুণ সফল ইউটিউবারদের। 

 

নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকামের ক্ষেত্রে মনিটাইজেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে ১ হাজার সাবক্রাইবার। তবে আপনার ইনকাম সাবক্রাইবারের উপর হবেনা, হবে ভিউয়ের উপর এবং আপনার ভিডিওতে শো করা বিজ্ঞাপনগুলো কোনো ভিউয়ার সম্পূর্ণ দেখলে এবং কোনো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে। এবং সেইসাথে প্রয়োজন হবে ১২ মাসে ৪ হাজার ভিউ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সকল ভিডিও মিলে। তবেই শুরু হবে আপনার ইনকাম। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, আপনার চ্যানেলে যত সাবস্ক্রাইবার হবে তত আপনার চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বাড়বে। এবং এক লক্ষ সাবক্রাইব হতেই সিলভার প্লে বাটন গিফট পাবেন ইউটিউব থেকে। ধিরে ধিরে অনেক প্লে বাটন। 

 

এক্ষেত্রে আপনার থাকতে হবে ধৈর্য। ভালো মানের কন্টেন্ট। 

 

৩. কন্টেন্ট লিখে বা ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম 

আপনার যদি কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর দক্ষতা থাকে, তবে আপনি চাইলে নিজের একটা ব্লগ খুলে ব্লগার কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস থেকে সেখানে নিয়মিত লিখে গুগল অ্যাডসেন্স বা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে।

 

বিভিন্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইট বা ম্যাগাজিন অথবা নিউজপেপারেও লিখে আপনি ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে। কিছু ব্লগ রয়েছে, যেগুলোতে ব্লগ লিখে ইনকাম করা যায়। আপনারা চাইলে এই ব্লগেও লিখে ইনকাম করতে পারেন। সেক্ষেত্রে যোগাযোগ করতে পারেন এই ইমেইলে nazirhossainm98@gmail.com এ। আপনার নামে একটা প্রোফাইল করে দেয়া হবে উইব্লগবিডিতে। তবে ভাষাজ্ঞান থাকতে হবে সমৃদ্ধ। কিভাবে লিখতে হবে সব জানানো হবে।  


আপনার যদি ইংরেজি লেখার দক্ষতা থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার কাজ পাওয়াটা অনেক সহজ। ফ্রিল্যান্সিং মাধ্যম যেমন ফাইভার বা আপওয়ার্কে ১০০০ ইউনিক ওয়ার্ডের বিনিময় $৫ ডলার থেকে $৩০০ ডলার পর্যন্ত পেয়ে যাবেন। 

 

৪. গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম

আপনার যদি একটা ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই গুগল অ্যাডসেন্সে আপনার ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইটটি কানেক্ট করে ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের কন্টেন্টগুলো হতে হবে ইউনিক। কোনোরকম কপি লেখা বা কপি ছবি ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা যাবেনা।

 

গুগল অ্যাডসেন্স বিভিন্ন দেশভেদে ওয়েবসাইটের অ্যাডে প্রতি ক্লিকে $০.০০১ ডলার থেকে $১০০ পর্যন্ত দিয়ে থাকে। এটা সম্পূর্নটাই নির্ভর করে আপনার কন্টেন্টের কোয়ালিটি বিশেষকরে দেশ অনুযায়ী। যেমন ধরুন আমেরিকা থেকে কেউ ক্লিক করলো, তবে প্রতি ক্লিকে অনেক দিবে, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে অতি সামান্যই দেয়। সিপিসি রেট একেবারেই কম। সেক্ষেত্রে ইংরেজি কন্টেন্টের ওয়েবসাইট গুলো থেকে মাসে $১০০০ ডলার থেকে $১০০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। 

 

৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম

বর্তমানে অনলাইন ইনকামের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে যেগুলোতে তাদের পণ্য বিক্রয় করে দিতে পারলে তাঁরা ২% থেকে ৭০% পর্যন্ত কমিশন দিয়ে থাকে। 

 

আপনার যদি ভালো মানের একটা ওয়েবসাইট থাকে এবং সেটাতে যদি অধিক পরিমাণে ভিজিটর আসে তবে আপনি খুব সহজেই সেইসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে অথবা তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে তাদের পণ্য বিক্রয় করে দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ অনেকেই করে। 

 

যেমন ধরুন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বর্তমানে এটি বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। এখানে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর দক্ষতা থাকতে হবে।  

 

শুধু যে ওয়েবসাইট তাই নয়, আপনি চাইলে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম কিংবা ইউটিউব আপনার মাধ্যম যাই হোক না কেনো আপনি খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েট বা রেফারেল প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। 

 

৬. ছবি বা ইমেজ বিক্রি করে ইনকাম 

আপনি যদি ভালো মানের ফটোগ্রাফার হন। তবে আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার তোলা সেরা ছবিগুলো বিক্রি করে ভালো মানের ইনকাম করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার দক্ষতা থাকতে হবে ভালো মানের এবং হাই রেজুলেশনে ছবি তোলার। 

 

ছবি বা ইমেজ বিক্রি করার জন্য রয়েছে অসংখ্য ইমেজ শেয়ারিং বা স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট। সেই সাইটগুলোতে নিজের একটা একাউন্ট করে নিজের তোলা ছবিগুলো আপলোড করতে হবে। ছবিগুলো আপলোড করার পর আপনার ছবির মান ও রেজুলেশন যাচাই-বাচাইয়ের পর সেইসব ওয়েবসাইট আপনার ছবি বিক্রয়ের অনুমোদন দিবেন। 

 

ছবি আপলোড করে ইনকামের ওয়েবসাইটসমূহ

  • Shutterstock
  • GettyImages
  • Fotolia
  • iStock
  • Dreamstime

অসংখ্য বড় বড় প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি রয়েছে যাদের প্রতিনিয়ত ব্যবহারের জন্য নানান ছবির প্রয়োজন হয়। তখন তাঁরা এইসকল ওয়েবসাইট থেকে ছবি কিনে নিয়ে ব্যবহার করেন। 

তবে এইসকল ওয়েবসাইটে প্রতি ইমেজ সেলের ক্ষেত্রে ৩০-৭০% পর্যন্ত কমিশন দিয়ে থাকেন।  

 

৭. ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম

আপনার যদি কম্পিউটারে দ্রুত টাইপিং দক্ষতা থাকে। তবে সেক্ষেত্রে আপনি ফাইভারে গিগ করে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, ডাটা এন্ট্রির কাজের ক্ষেত্রে ইনকাম অন্যান্য কাজের তুলনায় কম এবং কাজ পাওয়াও যায় কম। 

 

৮. অনলাইন টিউটর হয়ে ইনকাম

আপনি যদি কোনো বিষয়ে পারদর্শি হন, যেমন ধরুন ওয়েব ডিজাইন বা গ্রাফিক্স ডিজাইন বা যেকোনো বিষয়। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে একটা কোর্স সিস্টেম করতে পারেন। সেখানে শিক্ষার্থী নিয়ে কোর্স পরিচালনা করেও ইনকাম করতে পারেন। 

 

অনেকে রয়েছে সফল ইউটিউবার। তাঁরা নানারকম কোর্স চালু করেন। এবং কোর্স পরিচালনার মাধ্যমে বেশ টাকা ইনকাম করেন। অথবা কিছু ওয়েবসাইট টিউশনির সুবিধা রয়েছে, যেখানে পাঠদান দিয়ে ইনকাম করা যায়। 

 

৯. কিন্ডলে ইবুক বিক্রি করে ইনকাম

অ্যামাজনের জনপ্রিয় একটি ইবুক মাধ্যম কিন্ডলে। আপনার যদি ইংরেজি ভাষায় লেখালিখির অভিজ্ঞতা থাকে তবে সেক্ষেত্রে অ্যামাজনের কিন্ডলের সাহায্যে খুব সহজেই লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন আপনার লেখা। 

 

এক্ষেত্রে Kindle Direct Publishing এ আপনার একটা একাউন্ট করতে হবে। সেখানে একটি ডিজিটালি বই বা ইবুক লিখে প্রকাশ করতে হবে। এটি মূলত একটি অ্যামাজনের ইবুক বিক্রির প্লাটফর্ম। এখানের নিজের লেখা ইবুক ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিজের লেখা বইটি লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌছানো যায়। 

 

এখানে আপনি Amazon KDP এর সাহায্য নানান ধরনের ক্যাটাগরির বই প্রকাশ করতে পারবেন। আপনার লেখা ইবুকের দাম সেলেক্ট করবেন আপনি নিজেই। আপনার লেখা ইবুকটি যত বিক্রি হবে, টাকা পৌঁছে যাবে আপনার পেপাল অথবা ব্যাংক একাউন্টে। 

 

১০. পুরাতন বই বিক্রয় করে ইনকাম

আপনি যদি ঢাকার নীলক্ষেত বা বাংলাবাজার বা কাটাবন বা এর আশপাশ থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি নীলক্ষেত থেকে বই সংগ্রহ করে খুব সহজেই অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার থাকতে হবে ফেসবুকে একটি পেইজ এবং আইডি। আপনার পুরাতন বই বিক্রির নাম সেলেক্ট করুণ, এবং সেই নামে আইডি এবং পেইজ খুলুন। তারপর তৈরি করুণ একটা গ্রুপ।

 

আমার ফ্রেন্ড সার্কেলের বা পরিচিতদের মধ্যে অনেকে যারা ঢাকায় থাকে তাঁরা পুরাতন বই বিক্রয় করে এবং বলা যায় তাঁরা একরকম এই সেকশনে সফল। ছাত্রজীবনে এই পেশাটা অনেক মহৎ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটের অনেক শিক্ষার্থীই এই পেশার সাথে যুক্ত। 

 

নীলক্ষেত থেকে যে বইটা সংগ্রহ করবেন ২০টাকায়, সেটি বিক্রি করবেন ৫০-৭০টাকায়। কিছু কিছু বই ১০০। এখানে আপনার প্রতি বইতে লাভ হবে ৩০-২০০টাকা। 

 

বর্তমানে পুরাতন বই কেনার চাহিদা অনেক বেশি। ফেসবুকে পুরাতন বই ক্রয় বিক্রয় লিখে সার্চ দিলে অনেক গ্রুপ পাবেন। তাদের ফলো করুণ প্রথম দিকে। ফলো করুণ বৈতরনী, বইনগর ইত্যাদি সফল বই বিক্রেতাদের পেইজে। পুরাতন বই ব্যবসা শুরু থেকে সফলতার ধাপ পর্যন্ত বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন নীচের লেখাটি।

যেভাবে শুরু করবেন অনলাইনে পুরাতন বইয়ের ব্যবসা 

 

১১. ফেসবুক ক্রিয়েটর থেকে ইনকাম

ফেসবুকে নিজের নামে একটা একটা পেইজ খুলে বা নিজের আইডিকে ক্রিয়েটর হিসেবে কনভার্ট করে ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে সেই ভিডিওটি মনিটাইজ করে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে অনেকেই ফেসবুকে কন্টেন্ট তৈরি করে ইনকাম করছে।

 

ফলো করুণ সেইসব কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের, যাদের ভিডিওগুলো দেখলে আপনার নিজেরই ভালো লাগে। এটা করতে পারেন আপনার নিজের স্মার্ট ফোন দিয়েই। অনেকে দেখবেন ফানি ধরনের ভিডিও তৈরি করেন, মন্দ লাগেনা দেখতে বরং ভালোই লাগে দেখতে, তাদের ফলো করতে পারেন। 

 

১২. প্রশ্ন তৈরি বা ওয়ার্ড ফাইলে লিখে ইনকাম

আপনি যদি বিজয় টাইপিং এ এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড টাইপিং এ পারদর্শী হন, তবে আপনি একটি করে ফেলতে পারেন ফেসবুক পেইজ। সেই পেইজে পোস্ট করুণ যেকোনো লেখা এক পেইজ লেখা মাত্র ৩০টাকা। এবং সেই পোস্টটাকে করে ফেলুন বুস্ট অল্প কিছু টাকায়। দেখবেন অনেকের কাছে পৌঁছে যাবে এবং অনেক গ্রাহক পেয়ে যাবেন যারা আপনাকে টাইপিং এর কাজ দিবে। 

 

পরীক্ষার মৌসুমগুলোতে বিভিন্ন কোচিং বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশ্ন বানানো প্রয়োজন হয়। যখন তাঁরা আপনার থেকে কোনো প্রশ্ন বানিয়ে বা শীট টাইপ করে নিয়ে সেটিসফাইড হবে তখন তিনি তার প্রতিষ্ঠানের সব টাইপিং আপনার থেকেই করে নিবে। তার থেকে আপনার পেইজে রিভিউ দিয়ে নিন। আপনার সমস্থ সেটিসফাইড গ্রাহকদের থেকে। 

 

চাইলে আপনি অফলাইনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রশ্ন বানানোর কাজ নিতে পারেন। এই কাজটা আমিও করেছিলাম কয়েকটা প্রতিষ্ঠানের। তবে আমাকে প্রশ্ন খাতায় লিখে দেয়া লাগেনি বরং আমার কাছে সোর্স ফাইল ছিলো সেখান থেকে ইম্পর্টেন্ট প্রশ্নগুলো যাস্ট কপি পেস্ট করে দিলেই হতো। আপনিও করতে পারেন এটি। ছাত্র জীবনে এটি একটি মহৎ কাজ। এতে আপনার স্কিলস ডেভেলপড হবে অনেক। টাইপিং দক্ষতা বাড়বে বটেই সাথে আপনার মাথায় অজস্র প্রশ্ন ও এর সমাধান ঢুকে যাবে। 

Read More:

ছাত্র জীবনে উপার্জনের নানা উপায়

উপরুক্ত কাজের বাইরেও রয়েছে আরও বেশ কিছু কাজ। উপরুক্ত কাজগুলোর মাধ্যমে আপনি চাইলে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন অনলাইন থেকে। কোনো সম্পর্কে জানতে কমেন্ট করতে পারেন।

Read More:

আমার টিউশনী জীবনের গল্প এবং নব্য টিউটরদের প্রতি পরামর্শ

Post a Comment

0Comments

এই পোস্টটি বিষয়ে আপনার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুণ। অতি দ্রুত রিপ্লাই পাবেন।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!